বাংলাদেশের আধুনিক কবিদ্বয়দের আধুনিক কবিতার নমুনা

বাংলাদেশের আধুনিক তিন কবির তিনটে সেরা কবিতা দেখবো চলুন। কিভাবে খিস্তিকে লাইন বাই লাইন সাঁজিয়ে কবিতা লিখে থাকেন তারা।

'দোরা কাউয়া
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়ারে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরাপাতা, পাতাঝরা রে।।
(দোরা কাউয়া ব্রাত্য রাইসুর কবিতা)'

'একদিন, শরীরে সন্ধ্যা মেখে, আমাদের সামনে উলঙ্গ এক পাগলী এলো। তার বক্ষ সুবিশাল। আর সে দুই হাতে তার স্তন দুটি উঁচু ক’রে ধ’রে বললো, ‘আমার মাই ভরা দুধ থাকতে তোরা র চা খাচ্ছিস ক্যা?’
আমরা গোরুর দুধের চা খেয়েছি, কনডেন্স মিল্কের চা খেয়েছি; কিন্তু মানুষের দুধের চা খাই নি কখনও। আর এ তো উন্মাদিনী! —উন্মাদিনীর দুধের চা ক্যামন?'
(কবি সায়্যিদ জামিল সাহেব এর কবিতা)



তোমার ডালে বইসা ছিলো একটা বিশাল চিল
মাথার মগজ বিচিতে রাইখা মারতে গেলাম ঢিল!
উইড়া গিয়া অন্য গাছে বসলো শাউয়ার চিল
শপথ করলাম আজকা চিলের পুটকি করমু ঢিল।
এমন চ্যাটের খাউয়াল চিল গো আর দেখিনাই দাদা
চিল আজব হায়, চিল আজব হায় বড্ড চালাক চোদা!
এক ধোনে তার মন ভরে না দুই ধোনের চাহিদা
এক খামচায় চক্ষু আমার কইরা দিয়া ছ্যাদা
কই যে গ্যালো পালায়া চিল আর খুঁজে পাই না
আকাশ খুঁজি বাতাস তোয়াই চিল চুদি শেয়ানা।
(সজল আহমেদ সাহেব এর কবিতা)

Comments