কবিতা এবং টপটেন ফেসবুকিয় আধুনিক আতেল কবি (পর্ব ১)

সাহিত্যের শাখায় কবিতা সবচেয়ে বুড়ো। অর্থাৎ সাহিত্যের শুরুই হয় কবিতা দিয়ে। সাহিত্যে সবচেয়ে প্রাচীনই হচ্ছে কবিতা। বলা হয় কবিতার মাধ্যমেই শুরু হয় সাহিত্য। আর কবিতা যতটা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে কালক্রমে সাহিত্যের অন্যকোন শাখা তার আশেপাশেও ভিড়তে পারেনি।

কবিতা কী?
কবিতা হলো একজন কবির হৃদয় নিঙড়ানো আবেগ বা অনুভূতির প্রকাশ। কবিতার সংজ্ঞা এভাবে দেয়া যায়-
কবিতা হলো শব্দের ছন্দময় বিন্যাস যা হলো একজন কবির আবেগোত্থিত অনুভূতির প্রকাশ, উপলব্ধি ও চিন্তাকে সংক্ষেপে এবং উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে উদ্ভাসিত করে এবং শব্দের ছন্দায়িত ব্যবহারে সুমধুর শ্রুতিযোগ্যতা যুক্ত করে। (উইকিপেডিয়া)
ক্লোরিজ এমনই বলে- ক্লোরিজের মতে, মানুষের (কবি হওয়া বাধ্যগত করেছেন কিনা সে বিষয়ে অবগত নই আমি) শ্রেষ্ঠতম বিন্যাসের শব্দগুচ্ছের প্রকাশকেই কবিতা বলা যায়। ছন্দোময় বিন্যাস, যা একজন কবির আবেগোত্থিত অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা। এবং এই আবেগোত্থিত অনুভূতি আপনার প্রকাশ করতে হবে নিয়ম মেনে যাতে কবিতা কবিতা হয়ে ওঠে। 

কিছু আধুনিক কবিদের আপনাদের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয়া এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা মনেকরে 'ক' লিখলেই কবিতা হয়ে যায়। তথাপি তাঁরা নিজেদের কবি পরিচয় দেয়া শুরু করে হি হি হি! সবকিছুর একটা নিয়ম এবং লিমিটেশন থাকা জরুরী যাতে সেটি একেবারে বিশৃঙ্খল পর্যায়ে না পৌঁছে। কবিতায় ও নিয়মের একটা বিষয় বিদ্যমান। প্রশ্ন হচ্ছে কিছু অশ্লীল শব্দ পরাপর সাজিয়ে রাখলেই কী কবিতা হয়ে যাবে? এখানে আবেগোত্থিত তকমা অবশ্যই লাগাবেননা! আমাদের এসব আধুনিক কবিরা (!) কবিতা লেখার সময় একদম গ্রামার তোয়াক্কা না করেই কবিতা লেখা শুরু করে দেন। আর কিছু অশ্লীল শব্দ পরাপর সাজিয়ে রেখে নিজেদের কবি পরিচয় দেয়া শুরু করেন। এদের চিনে রাখা জরুরী। বর্তমানে বাংলা কবিতার বড্ড খারাপ সময়! প্রকৃত কবিরা বই ছাপিয়ে বিক্রি করতে পারেন না তীর্থের কাকের মতন বসে থাকেন বইমেলায় আর এসব অশ্লীল বাণী প্রসবকারী নারীবিদ্বেষী পুরুষতান্ত্রিক কবিরা বইমেলায় রাজত্ব করেন। যা প্রকৃত কবিদের ও কবিতার জন্য অপমানকর! তাছাড়া এদের হাতে বাংলা কবিতা সম্পূর্ণ অনিরাপদ! বাংলা কবিতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে এদের চিনে রাখা জরুরী। আমি স্বনামে লিখিনি এর একমাত্র কারণ হচ্ছে এদের অসংখ্য মুরিদান রয়েছে। আর আমি একজন নারী হওয়া সত্বেও এদের মুরিদানদের কাছে নিরাপদ নই। কাজেই গুপ্ত নামে লিখলাম। এবং এটির মোট ৩টি পর্ব লিখতে চাই। প্রত্যেকটা পর্বে আমি ৩ জন করে আতেলের নাম ছবিসহ প্রকাশ করব। ধন্যবাদ। এদের পরিচয় করিয়ে দেবার আগে আমরা প্রকৃত কবিতার ধরণ সম্বন্ধে একটু অবগত হই:
বাংলা কবিতার ছন্দের নাম
বাংলা কবিতার ছন্দ মূলত ৩টি- স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত এবং অক্ষরবৃত্ত।
১) স্বরবৃত্ত: ছড়ায় বেশি ব্যবহৃত হয় বলে, এই ছন্দকে ছড়ার ছন্দও বলা হয়।
(ক) মূল পর্ব সর্বদা ৪ মাত্রার হয়।
(খ) প্রতি পর্বের প্রথম অক্ষরে শ্বাসাঘাত পড়ে।
(গ) সব অক্ষর ১ মাত্রা গুনতে হয়।
(ঘ) দ্রুত লয় থাকে, মানে কবিতা আবৃত্তি করার সময় দ্রুত পড়তে হয়।
২) মাত্রাবৃত্ত:
(ক) মূল পর্ব ৪,৫,৬ বা ৭ মাত্রার হয়।
(খ) অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকলে ১ মাত্রা গুনতে হয়; আর অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে (য় থাকলেও) ২ মাত্রা গুনতে হয়; য় থাকলে, যেমন- হয়, কয়; য়-কে বলা যায় semi-vowel, পুরো স্বরধ্বনি নয়, তাই এটি অক্ষরের শেষে থাকলে মাত্রা ২ হয়।
(গ) কবিতা আবৃত্তির গতি স্বরবৃত্ত ছন্দের চেয়ে ধীর, কিন্তু অক্ষরবৃত্তের চেয়ে দ্রুত।
৩) অক্ষরবৃত্ত:
(ক) মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়
(খ) অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকলে ১ মাত্রা গুনতে হয়।
(গ) অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি আছে, এমন অক্ষর শব্দের শেষে থাকলে ২ মাত্রা হয়; শব্দের শুরুতে বা মাঝে থাকলে ১ মাত্রা হয়।
(ঘ) কোন শব্দ এক অক্ষরের হলে, এবং সেই অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে, সেই অক্ষরটির মাত্রা ২ হয়।
(ঙ) কোন সমাসবদ্ধ পদের শুরুতে যদি এমন অক্ষর থাকে, যার শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি আছে, তবে সেই অক্ষরের মাত্রা ১ বা ২ হতে পারে।
(চ) কবিতা আবৃত্তির গতি ধীর হয়।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দের আবার অনেকগুলো রূপভেদ বা প্রকার আছে- পয়ার, মহাপয়ার, ত্রিপদী, চৌপদী, দিগক্ষরা, একাবলী, সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দ। বিংশ শতক থেকে কবিরা গদ্যছন্দে কবিতা লিখতে শুরু করেছেন। কবিতার আরো প্রকারভেদ আছে তা হলো- গদ্যকাব্য, নাট্যকাব্য, বিদ্রুপাত্মক কবিতা, গীতি কাব্য, শোককাব্য, পদ্য আখ্যান, রুবাই, হাইকু, লিমেরিক, ক্বাসিদা, গজল এবং আধুনিক কবিতা ইত্যাদি। [সূত্রঃ ইন্টারনেট]
তো আমাদের এসব ফেসবুকিয় পাতিকবি বা অশ্লীল কবিগণ(!) ঠিক কী মেনে কবিতা লেখেন? উনারা কী ছন্দবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত, সনেট, হাইকু, রুবাই, লিমেরিক নাকি গজল লেখেন? এমনকি তাদের কবিতা আধুনিক কবিতা ও নয়। উপরন্তু অশ্লীলতায় মাখামাখি! আর আছে কবিতার বদৌলতে হিপহপ সিংগার ঐ যারা থাকেন একমাত্র তাঁরাই এমনসব কবিতা লেখার যোগ্য।

এখন আমরা আমাদের ফেসবুকিয় আধুনিক কবিদের (!) সাথে পরিচিত হব এবং তাদের কবিতাও পড়ব দুই একটা। সাবধান হাসবেন না! আমরা এখন সভ্যতা ছেড়ে একটু অসভ্য ফেসবুকিয় পাতি কবিদের আসরে ঘুরে আসি চলুন......

১ নাম্বার
ব্রাত্য রাইসু

এই ভদ্রলোককে আমি প্রায় ৩ বছর যাবৎ ফলো করি। উনি একজন ইন্টারভ্যিউয়ার এবং কবি(!) । নারী এবং আতেল কবিদের আসরে বেশ জনপ্রিয়তা আছে ওনার। কি যেন একটা নাটকেও উনি অভিনয় করেছিল মুস্তফা সরোয়ার ফারুকী পরিচালিত। ফেসবুকে ওনার ফলোয়ার্স প্রায় ২০হাজার এর উপরে! ওনাকে বলা হয় এখনকার আধুনিক ফেসবুকীয় কবিদের মাথা। ওনার কবিতায় আপনি ছন্দ পাবেন না। নিজের দ্বারা ভালো কিছু লেখা সম্ভব না হলেও তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ুন আহমেদ ও হুমায়ুন আজাদ এর মতো বড়ো মাপের লেখকদের নিয়ে হাস্যরস এবং সমালোচনা করতে ভুল করেন না। ব্রাত্য রাইসুর কবিতা পাঠ করার পর ওনার কবিতা সম্বন্ধে আমার আর বেশি একটা বলতে হবেনা। আপনি নিজেই বুঝে নিতে পারবেন। 

দোরা কাউয়া
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়ারে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরাপাতা, পাতাঝরা রে।।

কবিতাটি পাওয়া গেলো ব্রাত্য রাইসু এর নিজস্ব ওয়েব পেজ এ-
[ সূত্র ] 

আশাকরি আপনি 'দোড়া কাউয়া' পড়ার পর কবিতা লেখা হাতের ময়লা মনেহচ্ছে। এবং কবিতার উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে হি হি হি! অর্থাৎ 'ক' লিখলেও কবিতা হয়ে যাবার মতোই ফেসবুকিয় কবি ব্রাত্য রাইসুর কবিতা।


২ নাম্বারে আছেন
সাইয়্যেদ জামিল

ব্রাত্য রাইসুর আরেকজন ভাবশিষ্য কবি সাইয়্যেদ জামিল। একসময় কোন একটি পত্রিকায় চাকুরী করতেন। সেই সুবাদে কবি হয়ে ওঠা কিনা জানিনা তবে সাইয়্যেদ জামিল কবিতায় 'চ' বর্গীয় ব্যবহার করার জন্য অনলাইনে একবার বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন। একজন নারী হিসেবে আমি বলতে চাই- সবার উচিৎ কবি সাইয়্যেদ জামিল কে বয়কট করুন! তার কবিতায় যেমন রয়েছে অশ্লীলতা তেমনি রয়েছে নারীবিদ্বেষ! ওকে আবার বাংলাদেশর সনামধন্য পত্রিকা প্রথমআলো পুরস্কার এর জন্য নাকি মনোনীত ও করেছিলো! ছিঃ!
চলুনতো দেখে আসি-

'পৃথিবীতে আমরা গান গাই
পক্ষী শিকার করি,
চুদাচুদি করি, এবং নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করি।'

আরে কয়েকটি কবিতা দেখি কবি সাইয়্যেদ জামিল এর-

'স্বেচ্ছায়
   শাড়ি খুলে শ্রীমতি কাদম্বরী আমার
মুখের ভেতর পুরে দিলো
তার অহংকারী দুধের বোঁটা। দুপা ফাঁক
করে ঊরুসন্ধি দেখিয়ে বললো,
' ও নব্য ঠাকুরপো, এ শরীর তোমারও'
[ সূত্র ]
'কিলুর মগজরোজ বিকেলে কিলুর মগজ আমাদেরকে দাবড়ে নিয়ে আসে শাহবাগ। আমরা সাহিত্য-চোদানো ফাতরা লোকগুলো মিউজিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে গোয়া-মারা খাই আর র চা গিলি। মদ ও মাগির যন্ত্রণা নিয়ে গালি দিই ফরহাদ মজহারকে। আর বলি, চেতনা-বিশ্বের একটিই ভাই রবীন্দ্রনাথ।

একদিন, শরীরে সন্ধ্যা মেখে, আমাদের সামনে উলঙ্গ এক পাগলী এলো। তার বক্ষ সুবিশাল। আর সে দুই হাতে তার স্তন দুটি উঁচু ক’রে ধ’রে বললো, ‘আমার মাই ভরা দুধ থাকতে তোরা র চা খাচ্ছিস ক্যা?’
আমরা গোরুর দুধের চা খেয়েছি, কনডেন্স মিল্কের চা খেয়েছি; কিন্তু মানুষের দুধের চা খাই নি কখনও। আর এ তো উন্মাদিনী! —উন্মাদিনীর দুধের চা ক্যামন?'
সূত্র ]

সরাসরি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর পত্নি শ্রী কদম্বরী দেবী কে নিয়ে অশ্লীলতা চর্চা যা একেবারেই নিম্নশ্রেণীর অসভ্যদের কাজ! আর একজন অসভ্য ইতর পরের স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্যকারী কিভাবে কবি হয় আমি জানি না! সায়্যিদ জামিল কে আমি কখনোই কবি মনে করি না উপরন্তু একজন অসভ্য, ইতর আর নিম্নশ্রেণীর মানুষ্য হিসেবে মনেকরি যে নিজের মায়ের সম্মান ও দিতে জানেনা। ওর সম্বন্ধে না বাড়ানোটাই বেটার আই থিংক!


৩ নাম্বারে আছেন 
সজল আহমেদ

এ তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি আতেল কবিসভায়। ফেসবুকে ওনাকে একবছর যাবৎ আমি ফলো করি। এবং ইদানিং ওনার বেশ আতেল পাঠক ও জন্মিয়েছে। আতেলদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ক্রমশ। প্রায় ১৫০-২০০ লোক ওনার কবিতা পড়ে ফেসবুকে। এমনকি ইন্টারনেট এর বাংলা পোর্টালে তাঁর আতেল মার্কা কবিতার ভাইরাসের মতো ছড়াছড়ি! ইস্টিশন ব্লগেও ওর একটি প্রোফাইল আমার দৃষ্টিতে পরেছে সাথে বেশ কিছু কবিতা।
  একেও আমার ব্রাত্য রাইসুর ভাব শিষ্য মনেহয়। এর কবিতার ও প্রধান উপজীব্য অশ্লীল এবং হাস্যকর বাক্য। নিজে এখনো লেখা না শিখলেও ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বড়ো মাপের লেখকদের সমালোচনা করেন। 'রবীন্দ্র সমালোচনা' লিখে সার্চ করলে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ওর বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট নজরে আসবে। চলুন এনার দুএকটা কবিতা পাঠ করে আসি-



'গণিকা
প্রেম এই সুরার গেলাশে আজ মিশে যেতে থাকো; চষক-গণিকা নাটুয়ার নৃত্যে,
এক ফাঁকে কামাভাব ভর করে কামাশক্ত শরীরে;
সত্ত্বার চাহিদা শুধু সেক্স!
গণিকার পুলকিত ভ্যাজাইনা ছেদ করে তড়তড়িয়ে ওঠা অর্গাজম
শিৎকারে ছিড়ে ফেলা যৌনি যবনিকা
একদলা থু মেরে, পিচ্ছিল পিথিবীর অভ্যান্তরে শিশ্ন ঢুকিয়ে, করি মানব ভ্রুণের চালান।
প্রেম তড়তড়িয়ে চলে আসে দেহে
ক্ষয়িত অনুভূতি ঘর্মাক্ত গতরে।
রাতের ঘুম।
আসো হানা দাও ক্ষয়িত যুগল আঁখি পল্লবে,
মিশে যেতে থাকো শয়ন বিভোর পোট্রেয়েটে।
কি নিদারুণ পিথিবীর সুখ!
হাহ! গণিকার শিৎকার কানে বাজে, দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতায় আমি জেনে গেছি- অর্গাজম নয়, ভান করে মাগীগণ চেঁচামেচি করে!
জরায়ু বলতে গণিকার যা রয়েছে তা একদমই ছাড়ানো ফলের খোসা।'



এর কবিতার উপজীব্য শুধুমাত্র নারীর দেহ আর কিছু নয়! এরা শুধু জানে গালাগালি আর নারীর দেহ নিয়ে খেলা। আসুন আরো দু তিনটে দেখা যাক-



খাউয়াল চিল শিরোনামে কবিতার নামে গালাগালি-



'তোমার ডালে বইসা ছিলো একটা বিশাল চিল
মাথার মগজ বিচিতে রাইখা মারতে গেলাম ঢিল!
উইড়া গিয়া অন্য গাছে বসলো শাউয়ার চিল
শপথ করলাম আজকা চিলের পুটকি করমু ঢিল।
এমন চ্যাটের খাউয়াল চিল গো আর দেখিনাই দাদা
চিল আজব হায়, চিল আজব হায় বড্ড চালাক চোদা!
এক ধোনে তার মন ভরে না দুই ধোনের চাহিদা
এক খামচায় চক্ষু আমার কইরা দিয়া ছ্যাদা
কই যে গ্যালো পালায়া চিল আর খুঁজে পাই না
আকাশ খুঁজি বাতাস তোয়াই চিল চুদি শেয়ানা।

[সূত্র: ফেসবুক]






শত্রুদের গালাগাল স্বরূপ-
'এনিমি
এনিমি তোরে যে কথা বলার চান্স দিছিলাম ঐটাই আমার সর্বোচ্চ ভুল!
এখন আফসোস আমারে ছিড়ে
আমি ছিড়ি অাফসোসে চুল!
এনিমি
আমি জানি
কুত্তার বাচ্চা!
ক্ষণিকের বাচ্চা!
মাডাফা!
আমি তাকায়
দেখতে থাকি তা
তোর আম্মারে লাগায়
একটানা তিনশ বিদাশী কুত্তা!
এনিমি
তোরে মাইরা

ভোতা কইরা
দেবার আগ পর্যন্ত

কুত্তার বাচ্চার মতো,
তাকায়া তাকায়া

দেখতে থাক পৃথিবীর হালচাল
আর শুকতে থাক হুগার্পুলা
আমার আনশেভড বাল!'



প্রফেসরদের নিয়ে-
'মদখোড়
হু হা হু হা! হাটিতেছি দীর্ঘপথ
রাইতের চাঁদ আর পিচঢালা রাস্তা
উভয়ই মনে হইতাছে হা হা হা!
ব্রথেলসের মাগীর বিছানা।
আমি রাস্তার পাশ ধইরা শুইয়া পরার পর;
ফীল করি আমার শীরদারা ধরে বয়ে যাচ্ছে উষ্ণ কারো ছোঁয়া, তাকাই অগত্যা-
তাকায়ে দেখি শুইয়া পাশে এইটা হুমন্দির বাচ্চা
একটা ৩ দিনের অনাহার ওরাংওটাং টাইপ নেড়ীকুত্তা!



আমি রাগে রণবীর উইঠা দাঁড়াইলাম
হুগারপুর হুগা বরাবর এক লাথি কষাইলাম!
দেখি কেইকেই কইরা চুদনার পুলা হোগা উপ্তা কইরা দৌড়ায়
দৈাড়াই গিয়া দাঁড়াইলো এক প্রফেসরের দরজায়।
প্রফেসর কুত্তা হুগা মারেনি?
ভাবতে ভাবতে ফালতু মাথায়
একাই মিছিল ধরি একাই যাই...
নীরিহ প্রাণী কুত্তা হুগা মারার দায়ে
প্রফেসর সাবের ফাঁসি চাই! ফাঁসি চাই!



প্রফেসর না বাইর হয় না সে সাড়া দেয়!
হালার আবার খুব ইজ্জতের ভয়!
আমি হাসি! হা হা কুত্তা হোগা মারা প্রফেসররা এমন ইগো চোদনবাজই হয়!
হাইটা আসতে আসতে আবার আকাশে দিকে চাই
আকাশের চাঁদ আর এই দীর্ঘরাত লগে পিচঢালা এই রাস্তা
সব! সবই আমার কাছে কেন যেন
মনেহয় - ফীল ও করি ক্ষাণকি বাড়ির মাগীর বিছানা!'
[ সূত্র]
অশ্লীল বাক্য একের পর এক সাজিয়ে এরা কবিতার জন্ম দেয় আর তাদের ভক্তকূলেরা তাতে আবার বাহাবা ও দেন। মূলত মানুষের রুচি এখন কতটা নিচে নেমে গেছে একবার ভাবুন! আতেলতা বা অশ্লীলতাকে এখন মানুষ বেশ পছন্দ করেন আর তাতে উপজীব্য হিসেবে ব্যবহৃত হন নারী! আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই যে, এদের পুরুষ মুরিদের মতো রয়েছে নারী মুরিদ ও তারাও সমান তালে বাহাবা দেন। আরো একটি হাস্যকর বিষয় হচ্ছে এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেকে ইন্টালেকচুআল (Intellectual) বা বুদ্ধিজীবি হিসেবে পরিচয় দেন হি হি হি! আর মুরিদানরা তখন তাতে আরো তেল ঢেলে দেন ফলে তারা আরো বেশিবেশি ভাঁড়ামি শুরু করে। এই আতেল কবিরাই যখন অন্যকারো সমালোচনা করে নিজেদের বুদ্ধিজীবি প্রমাণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন তখন হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ কথা হচ্ছে, বাংলা কবিতাকে এদের মতো আতেল হতে রক্ষা করা প্রকৃত কবিতাপ্রেমীদের মহান দ্বায়িত্ব। এবং আমরা তা ঈশ্বরের আশির্বাদে পারবই!
আমাকে যখন ক্ষ্যাপানো হল তখন আমি এদের শেষ দেখে নেবো। আরো কিছু দেখা যেতে পারে। এগুলো কবিতা বলে স্বীকৃত বাংলাদেশে!
**********************************এখানে এসে যারা গুরুদের সাফাই গাইছ তারা আদৌ কি গুরুদের কবিতা পাঠ করেছ? যাও পাঠ করে এসে আমাকে বলে যেও। লজ্জা থাকলে এখেনে উঁকি মারতেও আসবেনা।
খিস্তিসমূহ////
কিলুর মগজ
রোজ বিকেলে কিলুর মগজ আমাদেরকে দাবড়ে নিয়ে আসে
শাহবাগ। আমরা সাহিত্য-চোদানো ফাতরা লোকগুলো
মিউজিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে গোয়া-মারা খাই আর র চা
গিলি। মদ ও মাগির যন্ত্রণা নিয়ে গালি দিই ফরহাদ
মজহারকে। আর বলি, চেতনা-বিশ্বের একটিই ভাই
রবীন্দ্রনাথ।
একদিন, শরীরে সন্ধ্যা মেখে, আমাদের সামনে উলঙ্গ এক
পাগলী এলো। তার বক্ষ সুবিশাল। আর সে দুই হাতে তার
স্তন দুটি উঁচু ক’রে ধ’রে বললো, ‘আমার মাই ভরা দুধ
থাকতে তোরা র চা খাচ্ছিস ক্যা?’
আমরা গোরুর দুধের চা খেয়েছি, কনডেন্স মিল্কের চা খেয়েছি;
কিন্তু মানুষের দুধের চা খাইনি কখনও। আর এ তো
উন্মাদিনী! 
----------------------------------------------------------
নিমগাছ
স্ত্রীদুগ্ধ পান করতে করতে লোকটা ভাবলো,
পৃথিবীতে ইঞ্জিন আবিষ্কারের পূর্বে যেসব নিমগাছ
জন্মেছিলো সেসব নিমগাছ ইঞ্জিনের শব্দ শোনে নাই—
লোকটার ভাবনার ওপর দিয়ে তিনটে খরগোশ
দিগন্তের দিকে দৌড়ে গ্যালো।
আর, দিগন্ত থেকে খ’সে পড়লো প্রকাণ্ড এক পুরুষাঙ্গ!
দিগন্ত থেকে খ’সে পড়া পুরুষাঙ্গের রঙ ঘন ও সুরেলা।
----------------------------------------------------------
http://web.facebook.com/notes/%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A6-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A7%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE/975373082491954/

কুর্সড~ ২
আমি মৃত্যুকে ক্ষাণকিরপোলা বইলা গালি দিলাম।
“মৃত্যু একটি ক্ষাণকির পোলা!”
*************************************
কুর্সড~ ৩
আমি তো ঠায়
দাঁড়িয়েই, ছিলাম
পাখি।
জানালা খুলে,
তুমি উড়ে গেলে না,
স্ব ইচ্ছায় থাকলা
আবার ঝগড়া চুদাইতাছিলা!
আমাকে কোন শাউয়াটা ভাবো?
চুৎমারাণি।
চলে গ্যালা না কেন?
থাকলা কেন?
কইলজা চাবাবা বইলা?
নাকি,
তোমার ছোটডানা
ছেটে দিয়েছিলো
নাকি কেউ?
*************************************
কাব্যিক গালাগালি~
অনেকদিন যাবৎ তোমারে দেখি,
অথচ কিছু বলতে পারতেছি না চুৎমারাণী!
কী একবালের চেহারাখান ফুটায়ে সেই যে গেলা গা
সেই থিকা চুদির ভাই মনটা খেলতেছে বালের প্রেমের খেলা!
তুমি একটা বাজে ছাই রঙের ড্রেস পইরা আসলা
দেখতে বালের মতো অথচ আমার ভালো লাইগা গ্যালো!
তুমি হাসতেছিলা মনে হইতেছিলো ভেটকি দিছে বোয়াল মাছে,
অথচ আমার মনে হইতেছিলো যেন গোলাপ একটা ফুইটা আছে গাছে।
তুমি গাইতাছিলা গান কাউয়ার কন্ঠে
কিছু পাতিশৃগাল আমি হাটতে দেখছি তোমার আশেপাশে,
অথচ আমার মনে হইলো যেন
বসন্তের কুকিল সকালের ডাক ডাকতেছে
আমাগো কাঠবাদাম তলায়!
আমি তোমার মাঝে প্যাঁচা দেখতে গিয়া শালিখ দেখছি
কাউয়া দেখতে গিয়া দেখছি ময়ূর।
আসলে এইসব বাল ও না, এইসবরে বলে শাউয়ার ভালো লাগা।
আর তোমারে ভিন্নরূপে দেইখা আমার ভালো লাগা থেইকা জাগ্রত হইছে শাউয়ার প্রেম।
আফসুস তোমারে বলতে পারি না।
লজ্জা নিজের কাছে পাই না
অনবরত খিস্তি করে যেতে পারি
খোলা ময়দানে ল্যাংটা হোয়েও হাটতে পারি,
অথচ তোমারে যে ভালোবাসি;
এইটা বলতে আমার হাটুতে-হাটুতে কাঁপুনি ধরে!
কী একটা আমার বালের কপাল
শূণ্যে ভাসা তোমার স্তনযুগল
এর মতো গোল!
গালিই দিবো তোমারে
আমার মনের অসুখ যেহেতু তোমার হেতুতে,
আসো প্রাপ্য সম্মান তোমারে দুইচা দিতে থাকি বাল
আমার কপাল
ঢাইকা আছে মেঘের মতো কালা
চুলে বালে একাকার!
কী এমন জাদু জানো যে এই রাইতের ব্যালাও তোমারে মনে কইরা আমি কাঁদতাছি চুৎমারানি?
সিনালেরে সিনাল আর মাগীরে মাগী কইতে পারাটা আমার স্বার্থকতা আমি জানি।
তোমারে এত ভালো লাগে ক্যানো শাউয়া?
ভালো লাগে লাগুক আবার প্রেম জাগ্রত হইবে ক্যানো বাল?
*************************************
বিণয় বা ভদ্রতা
আমারে খাইছে মেঘ
বিণয় নামের ভূতে
তাই সাদা সাদা কাশফুলেরা
কালো মেঘরে চুদে।
বিণয় আমায় আমি বিণয়রে
বাসর ঘরে ডাকি
একসঙ্গে আমরা দুইজন
অশ্লীলতায় মাতি।
গোস্বামী গোস্বামীর বিণয়
দিল বরাবর কোপ
রাধিকারে ভালো লাগলে
লাগে ভালো তাঁর ঠোঁট।
তামাক পাতা গ্লাস ভরা শারাফ
তামাম অন্তরের খোড়াক
রামের সীতা সীতার রাম
রাবনের লোভ গৎ বাঁধা যৌবনে
রামের সীতা রাবনের চোখ
তাকায় সীতার যৌবন পানে।
সাদা বোরাক তুলার মতো সাদা,
তুলার মতো বোরাক
পিঠে চইড়া উইড়া যাবো
রাধার বৃণ্দাবন।
চোখের পাতায় একেকটা প্রশ্ন
রামের ভ্রাতা লক্ষণ
যুবক ভ্রাতার সুন্দরী পত্নি
লক্ষণের কী ভালো লাগে না সীতার যৌবন?
*************************************
জাবর টোয়াকিং
বালকেরা দলবেঁধে দৌড়াতে লাগলো উঁচা পাহাড়ে
কাউয়া দুইটা উড়তেছিলো পাহাড়ের সীমানায়
বালকের দলদের ছিলো কাউয়ার ডাকে ভয়!
কাউয়া ডাকা সমূহ বিপদ কাউয়া ডাকলে
ভাগ্যের ফেরে গোয়া মারা যায়!
তাইলে কী আর পাহাড়ে উঠমুনা?
বালকদ্বয় খালি ভাবে।
তাঁরা ভয় তাড়াইতে জোড়সে জিপার টেনে
হিসহিস শব্দে মুইতা দিলো কাকের দিকে তাকায়।
এমন মুতের বেগ যে পাহাড়চূড়া ও ডোবে,
মুতের বেগে জোড়া কাউয়া পাহাড় থিকা দূরে
জোড়সে বেগে উইড়া গ্যালো কা কা কা রবে!
বাঁইচা গ্যালো জোড়া কাউয়া উইড়া আচমকা,
বালকের দল এমনই পটু-মুইতা সড়ায় শঙ্কা।
জোড়া কাউয়া আপত্তি জানায়,
অন্যায় করছো অন্যায় করছো ওহে বালকদ্বয়
আমরা অহন বিচার দিমু রাজার দরগায়!
মাফি মাঙলো বালক সকল
কার বালে কে শোনে?
উইড়া গেলো বাল-উল্টা কাউয়া প্রসাদপানে নালিশ জানাইতে।
জোড়া কাউয়া উইড়া গিয়া নালিশ ঠুকলো রাজার দরবারে,
রাজাসাব ওহে শোনেন একখান বাত
বিচার চাইতে আজকা আসছি আপনার বরাত!
কইলো রাজা, বলো কী হে কাক?
অভিযোগ বইলা ফ্যালো কিসের কিবা হারিআপ।
কইলো কাউয়াদ্বয়,
মহারাজ মহাশয়!
কিছু বালক মুইতা দিছে আপনার সীমানায়
মুতছে আমাগো গায়
কইছে তাঁরা মুতের এত পাওয়ার
যেন বিশাল জলোপ্রপাত!
আপনে নাকি কইলে কিছু
মুইতা ভাসাইবে আপনের রাজপ্রসাদ!
ফুলেফেপে রাজামশায় বালকদ্বয়দের ডাকে
নিষ্পাপ বালকদ্বয় গোমড়া মুখে আসে!
বালকদ্বয়দের দেইখা রাজা হইলেন তেলে বেগুন
গৌমত্তা সাব ধুতি জাগায় দেখতে পাইলো
রাজার হোগায় রাগের আগুন!
কইলেন রাজায়, ওহে বালকদ্বয়!
কাউয়া যদি ডাকেই, ধাজ লাগে ক্যান তোমাগো শাউয়ায়?
কাচুমাচু মুখ বালকদের রাজায় পাইয়া সুযোগ,
সব বালকের গর্দান নিতে হুকুম ফরমায়!
বিপদে তাগোর মুতার অভ্যাস রাজায় তা না জানে!
বালকদ্বয় জিপার খুললো চাইয়া আসমান পানে।
উপায়হীণ বালকেরা।
মুইতা দিলো তাঁরা,
সামনে ছিলো যারা,
ভাইসা গ্যালো সব শালারা;
পেছনেও ছিলো যারা!
ভাইসা গ্যালো উজির-নাজির
ভাইসা গ্যালো সেনাপতি
যতো ছিলো পেয়াদা,
ডুইবা মরলো রাজকবি,
মুত স্রোতে ঢোলপেট হইলো
রাজার পোষা বুদ্ধিজীবি!
মুতে ভাসলো মন্ত্রীর চেয়ার।
মুতের সমুদ্রে ডুইবা মরলো স্বয়ং মহারাজ,
তিনশো কিলো দূরে ভাইসা গ্যালো রাজার রাজপ্রসাদ।
বিপদ বুইঝা দুইটা কালো কাউয়া উইড়া গিয়া
কই গ্যালো যে কে তাঁগোর আর পায়?
কাউয়া গিয়া উইড়া বইলো ডেউয়া গাছের শাখায়।
মরলো রাজা, গ্যালো রাজ্য মুতের সাগরে
সমস্যার মূল উড়াল জানা কাউয়া দুইটা ফাঁকে বাঁইচা গ্যালোরে!
*************************************
না
ধরো আমাদের পথ খোলা ছিলো
কোন ক্রমে আমরা দৌড়ে পালালাম।
কই যাবো?
লাফ দিয়া বৃন্দাবন
হিমালয়
আফ্রিকার বন
কিম্বা অ্যামাজন?
না!
ইয়াদ নাই।
আমার হাতের বদলে দুটো শক্ত ডানা নাই, উড়ে যাওয়ার স্বপ্ন বৃথা।
তবুও মনে কর একভাবে গেলাম।
যদি অ্যামাজনে যাই তবে খাবো কী?
আমি কী বিয়ার গ্রেইল নাকি যে, দলা পাকানো কেঁচো খাবো?
না!
ইয়াদ নাই।
সম্ভব না।
জানো তো, মিলনের চে খাওন বড়?
আবেগের চে জীবন বড়!
তোমারে নিয়া আমি আবেগে পলায়া যাবো
গিয়া বড়জোর কী করবো?
আমরা মিলনে লিপ্ত হবো হরহামেশাই।
পথ ভরা মৃত্যুর থাবা,
অথচ ভালোবাসতে হলে বাঁচাটা প্রয়োজন।
পথে ক্ষুধা-তৃষ্ণা পেলে আমি তোমার গোশত চাবায়ে খেতে পারবোনা!
আমরা বাচ্চাকালে প্রশ্ন করতাম “ক্ষিধা বড় না চোদা বড়?”
অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আমরা মেনে নিতাম “খাওয়া!”
পাখি! ক্ষিধা পেটে চোদার আর আগ্রহ থাকে না হাহা!
*************************************
সোফিয়া
সোফিয়া!
জানি তুমি একটা রোবট
আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সিতে ভর করে তুমি হেগে দিয়ে গ্যালে পলকের মাথায়।
সোফিয়া!
জানি তুমি একটা ধাতব বক্স
অথচ তোমার স্তন যুগল বাঙালীদের যৌন শিহরণ জাগায়,
তুমি কোন যৌবনে ভর করে কে জানে
মুতে দিয়ে গ্যালে আচোদা বাঙালী বাবুদের মুখে!
*************************************
৮নং
ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি! আও তোমারে ধইররা কতকুন হোগামারি!
৯ নং
Everyday I kill my sperm!
My future childrens Curesed me constantly.
১২ নং
সাইডে যা মাদারচোদ!
-বাণীতে রিক্সাঅলা
***********************************
********** ইতর********************
আমি এক বালছাল উড়ে বেড়াই বৃন্দাবন
ছিড়ি সাধুর বৌয়ের ব্লাউজ,
টানি বিশ্ব সুন্দরীর পেটিকোটের সুতা।
আমি সেই ইতর, যার মস্তিষ্ক সর্বদা যৌনতা নিয়ে ভাবে!
চোদে নারীবাদীর অধিকার
যৌনী ভেদ করে ঢুকিয়ে দেয় সংযম ব্রত!

Link : http://bit.ly/2KZjOE9

Comments

  1. হা হয়ে গেছি! সাইয়্যেদ জামিলের কবিতার কথা আগে শুনলেও চোখে দেখা হয় নাই। -_-

    ReplyDelete
  2. কী বলব বুঝতে পারছি না ! তবে এগুলো কবি সাহিত্যিক নামের কেউ লিখতে পারে তা বিশ্বাস হচ্ছে না,বড়জোর এদের চটিলেখক বলা যেতে পারে !

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরো কিছু দেখা যেতে পারে। এগুলো কবিতা বলে স্বীকৃত বাংলাদেশে!
      **********************************
      কুর্সড~ ২
      আমি মৃত্যুকে ক্ষাণকিরপোলা বইলা গালি দিলাম।
      “মৃত্যু একটি ক্ষাণকির পোলা!”
      *************************************
      কুর্সড~ ৩
      আমি তো ঠায়
      দাঁড়িয়েই, ছিলাম
      পাখি।
      জানালা খুলে,
      তুমি উড়ে গেলে না,
      স্ব ইচ্ছায় থাকলা
      আবার ঝগড়া চুদাইতাছিলা!
      আমাকে কোন শাউয়াটা ভাবো?
      চুৎমারাণি।
      চলে গ্যালা না কেন?
      থাকলা কেন?
      কইলজা চাবাবা বইলা?
      নাকি,
      তোমার ছোটডানা
      ছেটে দিয়েছিলো
      নাকি কেউ?
      ***********************“ক্ষিধা বড় না চোদা বড়?”
      অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আমরা মেনে নিতাম “খাওয়া!”
      পাখি! ক্ষিধা পেটে চোদার আর আগ্রহ থাকে না হাহা!
      *

      Link : http://bit.ly/2KZjOE9

      Delete
  3. bangla type korte koshto hoy tai banglish a likhchi bole sorry!
    ami dukkho pelm j er post a jara comments koreche oder karo poetry shommondhe nunnotom gean nei shob gulo murkher baccha murkho. odr bap dadara kokhono kobita shommondhe jantona maybe. murkhotar nam jahir korte apnar motoi era kobi sayed jamil vi & sajol ahmed vi k gali dicche. poetryr definition hocce
    ''Literary work in which the expression of feelings and ideas is given intensity by the use of distinctive style and rhythm; poems collectively or as a genre of literature. ‘he felt a desire to investigate through poetry the subjects of pain and death’
    ‘she glanced at the papers and saw some lines of poetry’
    ‘he is chiefly famous for his love poetry’
    - Oxford Dictionary
    http://en.oxforddictionaries.com/definition/poetry
    ''
    shekhane apni ki baler horidas pal nki j poetryr definition nij theke ber korban?

    bisser boro boro shob kobira sex k upojibbo kore kobota likhechenn. T.S Elliot Robert Frost, Charles Bukowski, William Shakespeare,Emily Dickinson Shobai


    Ekhane dekhun 11 jon kobi jara dirty verse likhechen: http://mentalfloss.com/article/51028/11-poets-who-wrote-dirty-verse

    William Shakespeare er dirty sonnet : https://www.shmoop.com/sonnet-137/sex-theme.html

    Dickinson : http://www.ashokkarra.com/2009/02/dirty-thoughts-on-dickinsons-a-moth-the-hue-of-this-841/

    Charles Bukowskir name ekhane comment kora murkhor bacchara shuneche kina k jane! Charles Bukowskir kobita Shob cheye beshi oslil
    Ekhane dekhe ne murkher bacchara : https://www.provokr.com/words/3-erotic-poems/

    ReplyDelete
  4. যে কবিতা গুলো দেখছি এইগুলো কবিতার জাত না।
    তবে এই দেশে তো আরো ভালো ভালো কবিতা আছে ওই গুলো পড়ুন।

    ReplyDelete

Post a Comment