কবি সজল আহমেদ এর লিখনির জবাব


২২ জুন আমি বাংলাদেশ এর তিনটে কবির লিস্ট করে একটি প্রবন্ধ লিখি। ওটায় কবি সজল আহমেদ কে আমি নম্বর তিন আতেল কবি হিসেবে পরিচিত করাই। আতেল শব্দটি বাংলাদেশে ব্যবহৃত একটি শব্দ। ওটা ভাঁড়ামির বেলায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। সে যাক অনেকদিন নিজের কাজ গুছিয়ে না উঠতে পারায় ফেসবুক লগইন করা হয়ে ওঠেনি আজকে ফেসবুক লগইন করে দেখতে পেলুম ওনার এক চেলা (ভক্ত) আমার ফেসবুকে লেখার মন্তব্যে এক লিংক সেঁটে দিয়ে হাওয়া হয়েছে। লিংক এ এন্ট্রি করে এক টানে সম্পূর্ণ লেখনিই পড়ে নিলুম। লেখনির ভাষার শ্রীতে আমার দাঁত ভেঙে যাবার যোগাড় হতে হতেও হোলনা। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও আমার দাঁত রক্ষে করেছে। বেশ খটকা ভাষার লেখনি, জ্ঞানগর্ভ লেখনি। খটকা ভাষাতেই কবি ঝেড়ে কেশেছে।
তার ও লেখনিতে আমি তাকে ফেসবুক ইনবক্স করেছি সে বিষয় ও বলতে ছাড়েনি। লেখনি থেকে উদ্বৃতি দিচ্ছি
উত্তর-১
..........কলকাতার এক সুলেখিকা কিছুদিন পূর্বে আমার কবিতার সমালোচনা করছেন। উনার লগে আমার শত্রুতা বড়জোড় যা মনেপরে ওনার টেক্সট রিপ্লাই করিনাই আমি। আমি সাধারণত কথাবার্তা প্যাঁচ লাগানি ওয়ালাগো লগে ফেসবুকে আলাপ করিনা। কোন মেয়ে মানুষরে ইনবক্সে আগবাড়াইয়া ডিসটার্ব ও করিনা। আগে টেক্সট করলে যদি ভালো লাগে তো রিপ্লাই করি। তাঁরেও আমি আমার প্রথা মতোন ভালো না লাগায় রিপ্লাই করিনাই। তারপর আর জানিনা।........... লেখনির লিংক

এটা মিথ্যে নয় কবি কে ইনবক্স করেছিলাম কিন্তু রিপ্লে করেনি। ও ব্যাপার ওখানেই সমাধিস্থ হয়েছিল। আর বারাবারি হয়নি। কবি ইঙ্গিত দিতে চাইলেন আমি ব্যক্তিগত শত্রুতার জের টেনে তার কবিতার সমালোচনা করেছিলুম। এটি একদমই অযৌক্তিক বক্তব্য ওর। মূলতঃ পাঠকদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং লেখককে অন্ধকার পথ হতে ফিরিয়ে আনাই আমার ব্রত ছিল। অশ্লীলতা সাহিত্য নও। পরাপর খিস্তি সাঁজিয়ে রাখলেই পোয়েট্রি হয়ে যায়না। ওর দৌড় বড়জোড় ক্ষাণিকটা। পাঠকদের ছিঃ ছিঃ পেয়ে কবিতা লিখেই বা কি হবে? পুষ্পিতার সাথে ওর কোন শত্রুতা নেই। পুষ্পিতা কবিতা ভালোবাসে মনেপ্রাণে আর কবিদের শ্রদ্ধা করতে জানে। তবে তোমাকে কবি হতে হবে। অ-কবি বা আগাছা কবি হলে ঝুটের পাত্রে বাস করতে হবে।

উত্তর-২
ও আরো বলল

.........তিনি আমার সম্বন্ধে সমালোচনার ছলে যারপরনাই প্রাইভেসি নষ্ট করছেন, মিথ্যাচার করছেন পাশাপাশি তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব জাহির করছেন। এবং একপর্যায়ে নিজেরে কবিতার শিক্ষক হিসাবে জাহির করতে গেছেন। উনার লেখা পইড়া মনেহলো উনি আমারে কবিতার ক্লাশ করাইতে লইছেন। উনি কবিতার শিক্ষক আর আমি ঐ ক্লাশের এক নগণ্য ছাত্র।.......... 

এটি একদম ভিত্তিহীন অভিযোগ। না আমি ওর প্রাইভেসী নষ্ট করেছি, না আমি ওর প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব দেখিয়েছি। যদি প্রাইভেসী নষ্ট করার কথা হয়েই থাকে তাহলে বলতেই হয় আমাকে কেন ফ্রেন্ডলিস্টে নিল? আগে ভাবা প্রয়োজন ছিলনা কেন অচেনা কাউকে ফ্রেন্ডলিস্টে নিচ্ছি? "অনুমতি ছাড়া বাইরে প্রকাশ করা যাবেনা ওর লেখার নিচে এমন কোন মেসেজ সাঁটা ছিলোনা" তবে কী প্রাইভেসী ভেঙেছি ওর এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন নও?
আর হ্যাঁ আপনি যদি আমাকে পনডিত ভাবেন তবে আমি পন্ডিত। কবিতার পন্ডিত। শুদ্ধ সাহিত্যচর্চা এর পন্ডিত। আমার ব্রত অশ্লীলতা সাহিত্য হতে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করা। আমি ওকে আমার ছাত্র বা নিজকে ওর প্রফেসর ভাবিনা। আমি কবিতা বাঁচাতে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভালো কবিতা গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা আমার ব্রত।
 উত্তর-৩

.....এইটা যে উদ্যেশ্যপূর্ণ ভাবে আমারে হেয় করার একটা পরিকল্পনা সেইটাও বোঝায় যায়। কেননা ফেসবুকে উনি আমারে নিয়া ২টা পোস্ট করছেন। ঐ পোস্টের পর তিনি ফেসবুকে তাঁর কোন নতুন পোস্ট করেননাই।...... 


ভুল বকেছে এতে আমার কোন উদ্দেশ্য নেই। কবিতা বাঙালীদের আবেগ সে কবিতার এরকম বিকৃতি ঘটুক আমরা মনেপ্রাণে চাই না। আপনারা ভাল কবিদের ফলো করুন তবে ভাল কিছু লেখা যেতে পারে আমি আমার ফেসবুক দেয়ালে নতুন লেখনি সেঁটে দিয়েছি আর সেখেনে আপনাদের কিছুটা প্রশংসা করেছি। সে যাক ভাল কবিতা লিখুন বিকৃত রুচি পরিহার করুন। ধন্যবাদ। শুভকামনা।

Comments